মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (২৩ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'গ্লোবাল ম্যাগনিৎস্কি ল' এর অধীনে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতা, রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, নিপীড়নের ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যে কেউ এই নৃশংসতার জন্য দায়ী থাকলে তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।"
গত আগস্টের শেষ দিকে মিয়ানমারের বেশ কিছু পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর পর থেকে শুরু হয় রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, নারীদের ধর্ষণ, নির্বিচারে গুলি করে বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করা। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন বুধবার (১৮ অক্টোবর) বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকেই দায়ী মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরো বলেন, রাখাইনে সেনাবাহিনীর অত্যাচার এবং নির্যাতনের কারণে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে বাংলাদেশে পালাতে বাধ্য হয়েছ।
আগামী মাসের শুরুতে ম্যানিলয় আসিয়ানের এক সম্মেলনে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তিনি মিয়ানমারসহ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে সফর করবেন। ঠিক তার আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে ট্রাম্প প্রশাসন রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনেক ধীর প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করছে।
সূত্র: রয়টার্স