বিভিন্ন পক্ষের আপত্তির মুখে নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় তথ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষে নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, খোরশেদ আলম খসরু, মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, অভিনেতা আকবর পাঠান ফারুক, মিশা সওদাগর, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও জায়েদ খান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (এফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, যুগ্ম সচিব (চলচ্চিত্র) ইউছুব আলী মোল্লা, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, উপসচিব (চলচ্চিত্র) শাহীন আরা বেগমও ছিলেন বৈঠকে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তথ্যসচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মনজুরুর রহমানও ছিলেন।
এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া বস টু ও নবাব ছিল যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত
এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া তিনটি চলচ্চিত্রের দুটিই ‘বস টু’ ও ‘নবাব’ ছিল যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। এদুটির মুক্তি ঠেকাতে নানা চেষ্টা ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংগঠনগুলোর।
বৈঠকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ‘বিকাশ ও উন্নয়নের স্বার্থে’ অভিনেতা ফারুক এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর একগুচ্ছ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বৈঠকের বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চলচ্চিত্র বিষয়ে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেশের চলচ্চিত্রের স্বার্থে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ নীতিমালা দ্রুত যুগোপযোগী ও পূর্ণাঙ্গ করে নতুন নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“নতুন নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কিত কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।”
এছাড়া এফডিসির তত্ত্বাবধানে ৫০টি এইচডি প্রজেক্টর মেশিন কিনে তা প্রেক্ষাগৃহে যুক্ত করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।