মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে স্কুল শিক্ষকের যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে এলাকার অভিভাবক ও ছাত্রীরা। শনিবার এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে স্কুলের সভাপতি ও মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েল স্কুলে উপস্থিত হয়ে বিচারের আশ্বাস দেয়। রোববার এ ঘটনায় জরুরী ভাবে পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক মহামায়া গ্রামের সোবাহান বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম বাবলু অষ্টম শ্রেনীতে পড়–য়া এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করে। এ কথা জানাজানি হয়ে পড়লে অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। বিচার ও লম্পট শিক্ষকের গ্রেফতার এবং বরখাস্ত করার দাবীতে জনমত গড়ে ওঠে। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের আত্মীয় হওয়ায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
এর আগে স্কুলের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষক ছাত্রীর গায়ে হাত ও উত্যক্ত করার দায়ে অভিযুক্ত হন। তাকে তিন মাস সাময়িক বরখাস্ত রেখে চিল্লায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে কথিত আছে। একটি সুত্র জানায় ওই স্কুলের একাধিক ছাত্রীকে হয়রানী করা হয়েছে। এদিকে পশ্চিম দুর্গাপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বার বার নিগ্রহের শিকার হওয়ার বিষয়টি শনিবার বাজারগোপালপুরসহ এলাকায় টক অব দি ভিলেজে পরিণত হয়। লম্পট শিক্ষকদের বরখাস্তসহ তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে চায়ের দোকানগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম দুর্গাপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান ছাত্রীদের বিক্ষোভ ও ক্লাস রুমে তালা মারার কথা স্বীকার করে জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আজ রোববার বিশেষ জরুরী সভা আহবান করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলাম বাবলুর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমাদুল হক শেখ জানান, ওই শিক্ষক রবিউল ইসলাম বাবলুকে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।