বুধবার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখতে এসে কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু বাড়তি ভাড়া আদায়ের জন্য সিটিং সার্ভিস করা হয়েছিল। এখন মালিকরাই সেটা বন্ধ করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি মঙ্গলবার এক সভার পর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, আগামী ১৫ এপ্রিলের পর রাজধানীতে ‘সিটিং, গেইটলক কিংবা স্পেশাল সার্ভিস’ নামে কোনো বাস চালানো যাবে না।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “রোড পারমিটে সিটিং সার্ভিস বলে কোনো শব্দ নাই। দেখা গেছে, অফিস আওয়ারে হাজার হাজার যাত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু গাড়ি সিটিং বলে চলে যাচ্ছে, যাত্রীরা যেতে পারছে না। সিটিংয়ের নামের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় পুরো পথের ভাড়া নেয়া হচ্ছে আবার রাস্তা থেকে যাত্রীও তোলা হচ্ছে।”
পরিবহন মালিক প্রতিনিধিদের সভায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায়, প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার তালিকা টাঙানো এবং গাড়ীর ছাদ থেকে ক্যারিয়ার, সাইড অ্যাঙ্গেল ও অতিরিক্ত সিট খুলে ফেলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে চালক ও সহকারীদের শাস্তি দেওয়া হলেও মালিকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী কাদের বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে চালক-হেলপারের পাশাপাশি মালিকদেরও অপরাধের জন্য শাস্তির আওতায় আনার বিধান রাখা হচ্ছে।
“এটা শুধুমাত্র নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অনেকেই মতামত দিচ্ছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে এই আইনটি করা হবে।”
বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মাৎ জোহরা খাতুনের নেতৃত্বে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় চারজন চালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন তিনি।
এছাড়া দুটি গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয় এবং ১৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা বলেন, “আগে জরিমানা করা হত। এখন কারাদণ্ডও দেওয়া হচ্ছে। তাতে সচেতনতা বেড়েছে। এখন অধিকাংশ গাড়িরই কাগজপত্র ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে।”