জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই সব সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দেশে কোনো আইন নেই। তাই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ রাজবন্দিদের মুক্তি কার কাছে চাইব?’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্ট আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মুক্তির দাবিতে’ আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আলোচনা করার সময় শেষ হয়ে গেছে, এখন প্রতিবাদ করার সময়। গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। কিছু মামলা দেওয়া হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনের সময়। তখন উদ্দেশ্য ছিল বিরাজনীতিকরণ। সুযোগসন্ধানী যারা গণতন্ত্রকে চলতে দিতে চায় না, তারাই এসব মামলা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানের সময়ই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এসব শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওলানা হামিদ খান ভাসানী থেকে শুরু করে শেখ মুজিব পর্যন্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সেই দলটি দেশ স্বাধীনের পর গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। সে সময় বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেই দলটি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করে যাচ্ছে।’
ছাত্রনেতা জাকির হোসেন মিলনকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডের নামে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জীবন দিতে হলো মিলনকে। এ রকম বহু মিলন জীবন দিয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া।