শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবরুদ্ধ
প্রকাশ: ০৬:০০ pm ০৩-০৫-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:৫২ am ০৪-০৫-২০১৭
 
 
 


রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবীকে সকাল থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মী। ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চাকরির দাবিতে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

বুধবার বেলা ১১টা থেকে উপাচার্যকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও অবরুদ্ধ ছিলেন উপাচার্য।

এদিকে এ কর্মসূচির সঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ছাত্রলীগের কেউ কেউ আবেদন করেছেন। তবে কারা করেছেন, তা জানা যায়নি। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর একটি পক্ষ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করলে হাই কোর্ট ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, প্রত্যক্ষদর্শী ও অবরুদ্ধ করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকে উপাচার্যের কক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সভা চলছিল। সভা চলা অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কক্ষের সামনে বারান্দায় বসে পড়েন। এর নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতারা।

এ কারণে উপাচার্য তার কক্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। তবে উপাচার্যের কক্ষে সভায় থাকা শিক্ষকেরা বেরিয়ে গেলেও উপাচার্য তার কক্ষ থেকে এখনো বের হতে পারেননি।

উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মৃতিশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘যোগ্যতার ভিত্তিতে ছাত্রলীগের নেতাদের অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলাম। উপাচার্য স্যার বহুবার কথা দিয়েছেন। কিন্তু চাকরি আর হয়নি। কেননা ৫ মে তার চাকরির মেয়াদের শেষ দিন। শেষ পর্যন্ত আমরা বাধ্য হয়েছি এভাবে আন্দোলন করতে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী সন্ধ্যায় অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সঙ্গে সভা চলাকালে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা এসে চাকরি দেয়ার দাবি জানায়। এই চাকরি আমি কীভাবে দেব? এটি দিতে পারে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন)। এছাড়া সম্প্রতি ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তা হাই কোর্টে রিট করার কারণে বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।’’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘‘আমি ডায়াবেটিসের পেশেন্ট। আমাকে নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এসব কথাও শিক্ষার্থীদের বলেছি। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। আমি এখনো অবরুদ্ধ।’’

ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক কামাল হাসান নোবেল শেখ ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘‘উপাচার্য স্যার অবরুদ্ধ হয়েছেন এটা ঠিক। তবে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করা ঠিক হবে না। এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার হতে পারে। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউই এর সঙ্গে জড়িত নেই।’’

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT