শিশুদের দেরিতে দাঁত ওঠা স্বাভাবিক। এ নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। প্রথম দাঁত ওঠার সময় একেক শিশুর অভিজ্ঞতা একেক রকম হতে পারে। এ পার্থক্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরিবারভেদে হয়ে থাকে। কোনো কোনো শিশু জন্মদাঁত নিয়ে জন্মায়। আবার অনেক শিশুর প্রথম ১ বছরেও দাঁত উঠে না।
শিশুর দেরিতে দাঁত ওঠা বা দাঁত ঝরে পড়ার সচরাচর কারণগুলো হলো:
আক্কেলদাঁত ছাড়াও কখনো অতিরিক্ত দাঁত গজায়, বিশেষত ওপরের পাটির মধ্যম ও পাশের স্থানে, ফলে স্থায়ী দাঁত ওঠার বিষয়টি বাধাপ্রাপ্ত হয়।
দুধ দাঁত অজানা কারণে বেশি সময় ধরে টিকে থাকে।
চোয়ালের আকৃতি বেশি ছোট বা বড় হলে পরিবারভেদে সাধারণত এটা হয়ে থাকে, এতে করে সামঞ্জস্যপূর্ণ দন্ত সারি সাজানো না থাকতে পারে।
দেরিতে দাঁত গজানো কিছু রোগেরও লক্ষণ। যেমন: থাইরয়েড হরমোনের অভাব, হাইপো পেরাথাইরয়েডিজম, গাডনার সিনড্রোম ও ভিটামিন ‘ডি’ রেজিসট্যান্স রিকেটস।
দাঁত না থাকা:
অ্যাক্টো ডারমাল ডিসপ্লেসিয়া রোগে শিশুর ত্বক শুষ্ক থাকে, চুল পাতলা হয় ও নখ অস্বাভাবিক প্রকৃতির হয়ে থাকে। ওপরের পাটির পাশের দাঁত ও নিচের পাটির তৃতীয় মোলার বা প্রিমেলার দন্তসমূহ খুঁজে পাওয়া যায় না।
অকালে পড়ে যাওয়া:
হাইপোফসফোটেসিয়া, ভিটামিন ডি রেজিস্ট্যান্স রিকেটস, হাইপোপেরাথাইরয়েডিজম, হিসটোসাইটোসিস এক্স প্রভৃতিতে এটা হয়ে থাকে।
হলুদাভ অবস্থা:
গর্ভাবস্থায় মা টেট্রাসাইক্লিন ওষুধ সেবন করলে নবজাতক সন্তানে এরূপ ঘটে।
সংগ্রহীত