আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপকভাবে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। আর এবারের ভাইরাস বেশ শক্তিশালী। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রচণ্ড শরীর ব্যথার পাশাপাশি কাশি, ফুসফুসে সংক্রমণের মতো অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা ভাইরাস জ্বরে করণীয় সম্পর্কে লিখেছি। অনেকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা আছে কিনা। এখানে একটা কথা বলা দরকার। ভাইরাসের কোনো ধরনের চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
যেমন: শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি ফারেন হাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামল, সর্দি-কাশি হলে এন্টি-হিস্টামিন এবং পেশীর ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যথাযথ পেইন কিলার সেবন করা উচিত। মূলত: ভাইরাসের তেমন কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই।
পরিবারের কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারেন। একইভাবে অফিসে, কর্মক্ষেত্রে কেউ আক্রান্ত হলে সংস্পর্শে থাকা সহকর্মীরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তদের থেকে অন্যদের যাতে সংক্রমিত না হয় তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। তবে এবারের ভাইরাস জ্বরের সংক্রমণ তীব্র হলে ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে।
তবে আর একটি বিষয় মনে রাখা দরকার। আর তা হচ্ছে, এখন ব্যাপকহারে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু হচ্ছে। আর ভাইরাস জ্বরের সঙ্গে এ দুটি রোগেরও যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। তাই জ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা ৩/৪ দিনের মধ্যে না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র অন্যের ব্যবহার না করা উচিত।