সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ আছিয়া মহলে অভিযানের প্রস্ততি নিচ্ছে সেনাবিাহিনী। কমান্ডো বাহিনী এ অভিযান চালাবে।
শনিবার সকাল ৮টায় ২০টি গাড়িতে করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। এর পর ৮টা ২০ মিনিটে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে তিনটা অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে।
জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীদের ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরে যেতে বলা হয়েছে। এলাকার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
ওই ভবনে আটকেপড়া অনিমেষে রায়ের চাচা বিপুল রায় জানান, রাতে পুলিশ তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে মেঝেতে ঘুমাতে বলেছেন। মোবাইল চার্জ দিয়ে রাখতে বলেছেন। অনিমেষের বাসায় তিনিসহ তার স্ত্রী ও চার শিশু মিলে ১০ জন রয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটের কিছু আগে পরে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডোদের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা রাতে পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসে সোয়াট টিম। ঢাকা থেকে সড়ক পথে রওয়ানা দিয়ে সোয়াট টিম সদস্যরা সিলেটে পৌঁছেই বাড়িটির চারপাশে অবস্থান নেয়।
সেইসঙ্গে বিকেল সোয়া ৪টায় এএসপি রহমত উল্লাহ চৌধুরী সুমনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের দলও সিলেটে পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পাঁচতলা আছিয়া মহল ঘিরে রাখা হয়। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বাইরের দিকে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। পুলিশও ওই বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে দুপুরে আছিয়া মহলের ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একজন বলেন, “তাড়াতাড়ি সোয়াট নিয়ে আসো, তোমরা পুলিশেরা আমাদের কিছুই করতে পারবে না। আমাদের হাতে সময় কম।”