তিন দিনের সরকারি সফর শেষে সুইডেন থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমানবন্দরে এসময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
শুক্রবার দুপুরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে স্টকহোম থেকে লন্ডনে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। হিথ্রো বিমানবন্দরে তিন ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ওঠেন তিনি।
স্টকহোমের আরল্যান্ডা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ার।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্তেফান লোফভেনের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনার এই সফর ছিল ইউরোপের এই দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম দ্বি-পক্ষীয় সরকারি সফর।
সফরে সুইডেনের রাজা কার্ল ষষ্ঠদশ গুস্তাভের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
রাজার সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। যৌথ বিবৃতিতে তারা সম্পর্কের নতুন দুয়ার উন্মোচনের আশার কথা বলেন।
স্টকহোমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও যোগ দেন শেখ হাসিনা।
গ্লোবাল পোশাক ব্র্যান্ড এইচএন্ড এম-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহীসহ কয়েকটি বিনিয়োগ ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা সেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-সুইডেন বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের আলোচনায়ও অংশ নেন তিনি।
সুইডেন যাওয়ার পথে লন্ডনে যাত্রাবিরতি দিয়ে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে পুনরায় নির্বাচিত হওয়া ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিককে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব সুরাইয়া বেগম, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।