একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সংলাপ শুরু হয়। এর আগে সংলাপে প্রথম অবস্থায় সুশীল সমাজের ৬০ জনকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৬৫ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে বেশ কয়েকজন বিদেশে থাকায় ৫৯ জনের সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসি সূত্র জানায়, ইসির সংলাপে অংশ নেওয়াদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক আমলা, কূটনীতিক, বিচারপতি, আইনজ্ঞ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, কলামিস্টসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে যারা নিয়োজিত রয়েছেন এমন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সংলাপে ইসির কর্মপরিকল্পনায় ৭ দফা করণীয় মধ্যে ৬টি নিয়েই আলোচনা হবে। আলোচনার আগে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যেন হোমওয়ার্ক করতে পারেন, সে জন্য দশম সংসদ নির্বাচনের ম্যানুয়াল, নির্বাচনী আইনের কপিসহ অন্যান্য প্রিন্টেড ডকুমেন্ট সরবরাহ করা হয়। যাতে তারা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে সংলাপে আসতে পারেন। এদিকে সুশীল সমাজের সঙ্গে ইসির বৈঠকে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ ইতোপূর্বে ইসির সঙ্গে সংলাপের সময় গণমাধ্যমের কর্মীরা সরাসরি অংশ নিয়ে সংবাদ প্রচার করার সুযোগ পেলেও এবার তা হচ্ছে না। শুধু সংলাপ শুরুর আগে ফুটেজ সংগ্রহ করার জন্য সাংবাদিকদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পরে বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইসি সংবাদ সম্মেলন করে সংলাপের বিষয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের অবহিত করবে। এদিকে সংলাপে ৬৫ জন নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাদের জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। সংলাপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে শিডিউল অনুযায়ী সময় রাখা হয়েছে মাত্র দুই ঘণ্টা। ফলে সংলাপে অংশ নেওয়ারা গড়ে ২ মিনিটের কম সময় পাবেন কথা বলার জন্য। এ বিষয়ে কমিশনার কবিতা খানম বলেন, সংলাপের জন্য ইসি নির্ধারিত দুই ঘণ্টা সময় রাখা হলেও অংশ নেওয়ারা আরও বেশি সময় কথা বলতে চাইলে সে সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে লাঞ্চের পরও সংলাপ চলবে।