স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। আর তা বাস্তবায়নে ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮০০ কোটি টাকার তহবিল নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বিভাগটি। নগদ ও অন্যান্য রিসোর্স মিলিয়ে এই তহবিল বিতরণ হবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) বিনিয়োগ মডেলে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ নামে এই কার্যক্রমে উদ্যোক্তাদের আইডিয়া বাস্তবায়নে আর্থিক, দক্ষতা, যোগাযোগ উন্নয়নসহ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। যার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশে সিলিকন ভ্যালির আদলে বিনিয়োগের পরিবেশ ও সংস্কৃতি তৈরি করা। ইতোমধ্যে এই বিনিয়োগে কাকে নির্বাচন করা হবে, কাকে কত টাকা দেওয়া হবে, এরপর তাদের কাজের দেখভাল কীভাবে করা হবে-এসব বিষয়ে একটি ‘বিনিয়োগ কৌশল নীতিমালা’ তৈরির কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশের উপদেষ্টা টিনা জাবীন জানান, ১০০ মিলিয়ন ডলার তহবিলের অর্ধেকের বেশি নগদ আর বাকিটা অন্যান্য খাত বা রিসোর্স মিলিয়ে। এটা অনুদান হিসেবে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার এখানে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টের ভূমিকা পালন করবে। সরকার উদ্যোগগুলোর ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব নেবে। অবশ্য আইডিয়া স্টেজে কোম্পানিকে কিছু অনুদান দেওয়া হবে। তবে বেশিরভাগই যাবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল মডেল ফলো করে। স্টার্টআপ বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এরই মধ্যে ২শ’র মতো আইডিয়া জমা পড়েছে। এখানে কেউ ৫ লাখ, কেউ ১০ লাখ, কেউবা কোটি টাকা চেয়েছেন। বিনিয়োগ ও অনুদানের জন্য প্রাথমিকভাবে ১০টির মতো আইডিয়া ও উদ্যোগ নির্বাচন করা হয়েছে। বিনিয়োগ কৌশল নীতিমালা চূড়ান্ত হলে চূড়ান্ত আইডিয়া ও উদ্যোগগুলো তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী অর্থ পাবে। সিলিকন ভ্যালির কিছু একাডেমির সঙ্গে এই উদ্যোগকে সম্পৃক্ত করা গেছে। যেমন-ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসের (এমআইটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফিনটেকের তথ্য বিশ্লেষক ডেভিড এম শায়ারের মতো ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে এসেছেন এবং দেশের উদ্যোক্তাদের আইডিয়া উপস্থাপন দেখেছেন। আর এসবই স্টার্টআপ বাংলাদেশের উদ্যোগে হচ্ছে বলে জানান তিনি। আইডিয়া সাবমিট করতে ও বিস্তারিত জানা যাবে http://startupbangladesh.gov.bd/ ঠিকানায়।