সুনামগঞ্জের শনির হাওরে কৃষক ও এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে রক্ষা পাওয়া বাঁধের তিন জায়গা ভেঙে গেছে। সেখান দিয়ে ঢুকতে শুরু করেছে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি।
আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে বাঁধের লালুর গোয়ালা, আহাম্মকখালী ও রাধাপুর নামে তিনটি জায়গা দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এলাকাবাসী ও কৃষকেরা সেখানে সংস্কারের কাজ করছেন।
গত ৩০ মার্চ থেকে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের একের পর এক হাওরে পানি ঢুকে ফসল তলিয়ে যায়। রক্ষা পায় শনির হাওর। টানা ২২ দিন তিনটি উপজেলার হাওরপারের ৪০ গ্রামের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে রক্ষা পেয়েছিল এই বাঁধ।
তাহেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাঁধের ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলায় এ বছর ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। প্রশাসন বলছে, ৮২ শতাংশ ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছেন ৯০ শতাংশ। এ অবস্থায় রক্ষা পেয়েছিল শনির হাওর। এটি ‘ধানের খনি’ বলে কৃষকমহলে পরিচিত। এবার ২২ হাজার একর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের মানুষের জমি আছে শনির হাওরে। প্রায় ২২ হাজার একর জমির মধ্যে তাহিরপুরের বাসিন্দা কৃষকের জমি আছে প্রায় ১৬ হাজার একর।