অতিবাহিত করেছেন জীবনের ৪৯টি বছর। কিন্তু তারুণ্যের ক্ষয় নেই যেন একটুও। তিনি আর কেউ নন। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার। এ বয়সেও শারীরিক গঠন ও চলন-বলনে ধরে রেখেছেন তারুণ্য। শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ৫০-এ পা রাখলেন বলিউডের এ খিলাড়ি। জন্মদিনে ভক্তদেরকে দিলেন বিশেষ উপহার। তার জন্মদিনে নতুন ছবি ‘গোল্ড’র পোস্টার উপহার দিয়েছেন ভক্তদের। জন্মদিনেই প্রকাশ পেয়েছে পোস্টারটি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্টার শেয়ার করেছেন তিনি। অক্ষয় বলেছেন, প্রত্যেকটি মেঘে একটা রুপালি আস্তরণ থাকে। তবে আমার মেঘে সেই আস্তরণটি আপনাদের ভালোবাসায় সোনালি হয়ে উঠেছে। আমার বয়স এখন সেই সোনা ছুঁয়েছে, রইলো আমার হৃদয়ের খুব কাছের সিনেমার পোস্টার। অক্ষয়ের ‘গোল্ড’-এ হকি খেলোয়াড় বলবীর সিং দোসাঞ্জ’র চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। দেশ স্বাধীন হবার পর বলবীর সিং লন্ডনে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে দেশের প্রথম সোনাজয়ী হকি খেলোয়াড়। খিলাড়ি, দিল কি বাজি, মে খিলাড়ি তু আনাড়ি, আমানত, দিল তো পাগল হ্যায়, বারুদ, মুঝসে শাদী করগি, জান-ই-মান, নামাস্তে লন্ডন, হাউজ ফুলসহ বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি এ নায়কের ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। ১৯৬৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অক্ষয় কুমারের জন্ম পাঞ্জাবের অমৃতশরে৷ তার পারিবারিক নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া। বাবা সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। তার মায়ের নাম আরুনা ভাটিয়া। মুম্বাইয়ে স্থানান্তর হবার আগে তিনি দিল্লির চাঁদনি চকে থাকতেন। মুম্বাইয়ে তিনি কলিওারাতে থাকতেন, সেখানকার অধিকাংশ মানুষ ছিল পাঞ্জাবী। তিনি মুম্বাইয়ের ডন বসকো স্কুলে পড়েন। এরপর মুম্বাইয়ের গুরু নানক খালসা কলেজে পড়াশোনা করেন। তায়কোয়ান্দোতে ব্লাক বেল্ট পাবার পর তিনি মার্শাল আর্ট শিখার জন্য ব্যাংকক এ যান। পরে থাইল্যান্ড এ তিনি মুই থাই শিখার পর প্রধান ওয়েটারের কাজ করেন। বাংলাদেশের একটি হোটেলেও কিছুদিন কাজ করেছিলেন অক্ষয়। মুম্বাই এ ফিরে মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন। তার এক ছাত্র, ফটোগ্রাফার, কুমারকে মডেলিং করার জন্য পরামর্শ দেন।