বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমার বেশি হলে জেল হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী, ভক্ত আছেন, তাদেরও জেলে যেতে হয়েছে।’ তবে সরকার বিএনপি ও দলটির নেতাকর্মীদের কিছুই করতে পারবে না। এই সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই।’
আজ শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভার দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
এ সময় খালেদা জিয়া দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্যধারণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমি এরশাদবিরোধী আন্দোলন করেছি। বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে আমার মা-বাবা, ভাই-বোন ও সন্তানকেও হারিয়েছি। কিন্তু রাজনীতি ছাড়িনি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে রক্ষা করা। ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভয়-ভীতি, লোভ-লালসা যাই কিছু দেখাক না কেন, আপস করা চলবে না। আমি সকালেও বলেছি, এখনও আবার বলছি, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি এবং থাকবো।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (প্রশাসনের কর্মকর্তারা) দেশের সেবক। তাদের বিরুদ্ধে না গিয়ে কাজ করতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। বিপদের সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের মধ্যে কেউ হঠকারিতা তৈরি করবেন না। হঠকারী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খালেদা জিয়ার বক্তব্যের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাহী কমিটির সভার রাজনৈতিক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে :
যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম অব্যাহত রাখা; খালেদা জিয়া-তারেক রহমান ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে শান্তিপূর্ণভাবে রুখে দেওয়া। সভায় গুম-খুন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, শেয়ার মার্কেটের লুটপাট ও ব্যাংক ডাকাতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়।
মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক প্রস্তাবে উল্লেখ করেন, 'বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়। তবে সেই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হতে হবে এবং নির্বাচনে সবার সমান সুযোগ থাকতে হবে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় প্রস্তাবে। পাশাপাশি জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে বলে রাজনৈতিক প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
ফখরুল বলেন, নির্বাহী কমিটির সভায় ৪২ জন সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। তাদের বক্তব্যে এই প্রস্তাবগুলোই আলোচনায় উঠে এসেছে। আগামীকাল রোববার এসব প্রস্তাব গণমাধ্যমকে জানানো হবে।