ভুটানের থিম্পুতে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক সেমিনার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি রাষ্ট্রের উচিত তাদের সবচেয়ে দুর্দশাগ্রস্ত নাগরিকদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে থিম্পুর রয়েল বাংকোয়েট হলে তিন দিনের এই সেমিনারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) আঞ্চলিক পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিয়োনপো তান্ডিন ওয়াংচুক।
সবাইকে অটিজমে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শারীরিক অক্ষমতার বাইরেও তাদের যে বহুমুখী প্রতিভা রয়েছে আসুন আমরা তা স্বীকার করে নেই। এবং তাদের সমাজে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার উপযোগী করি।
‘যদি বিশ্বব্যাপী অটিজমে আক্রান্ত মানুষগুলো ও তাদের পরিবারকে কলঙ্কিত বলা হয়, তারা বৈষম্যের শিকার হন এবং তাদের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। মানব বৈচিত্র্যের অংশ হিসেবে হিসেবে তাদের সম্মান জানাতে হবে।’
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ও অটিজমে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আইনগত, সামাজিক ও চিকিৎসার মতো নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে প্রধান করে বাংলাদেশে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক আট সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি করার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশসহ বর্হিবিশ্বে অটিজম বিষয়ক সচেতনতা ও এ জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সহায়তা ও অবদানে অনেকের জীবন বদলে গেছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে অটিজম আক্রান্ত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের প্রশংসা করেন।
সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া উচিত বলে মত দেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।