রাজধানীতে ‘সিটিং সার্ভিস’ নামে চলাচলকারী পরিবহনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আট সদস্যবিশিষ্ট সুপারিশ কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এই কমিটি সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা বা চালু রাখার বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেবে। এর ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমানের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই রব্বানীকে।
জনস্বার্থে সিটিং সার্ভিস বহাল রাখা যাবে নাকি বন্ধ করা হবে, এসব বিষয় খতিয়ে দেখে আগামী তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, ‘কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম সর্ম্পকে কমিটির প্রধান জানাতে পারবেন। তিনি মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করবেন।’
পরে কমিটির প্রধান ও রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই রব্বানী বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে কমিটির সদস্যের নিয়ে প্রথম বৈঠক করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম বৈঠকে কমিটির কার্যক্রম এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে কমিটি বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে বৈঠক করবে। যেমন- কী কী বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিটিং সার্ভিস বন্ধ বা চালু রাখা হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীকালে সিটিং সার্ভিসের সুবিধা-অসুবিধা, ভাড়া নির্ধারণ, রুট নির্ধারণ, যাত্রীদের মন্তব্য, পরিবহন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া হবে।’
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সিটিং সার্ভিসের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।’
রাজধানীতে গত ১৬ এপ্রিল গণপরিবহনে সিটিং, গেট লক ও স্পেশাল বাস সার্ভিস বন্ধ করা হয়। পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে সিটিং সার্ভিস বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয় বিআরটিএ। পরে বিষয়টি তদারকি করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
তবে লোকাস বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, নৈরাজ্য ও ব্যাপক হয়রানির ফলে ১৯ এপ্রিল বিআরটিএ কার্যালয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানানো হয়। এতে আগের মতো নগরীতে সিটিং সার্ভিস বাস চলাচল শুরু হয়।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ দিনের মধ্যে পরিবহন খাতে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।