যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক দলের সাবেক চিকিৎসক ল্যারি নাসেরকে যৌন হয়রানির দায়ে ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের শুনানি শেষে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন দেশটির একটি আদালত। ল্যারি নাসেরের যৌন সন্ত্রাসের শিকার প্রায় ১৬০ জন জবানবন্দি দেওয়ার পর এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক। ল্যারি নাসেরের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে স্বর্ণজয়ী গ্যাবি ডগলাসসহ একাধিক মার্কিন অলিম্পিয়ান রয়েছেন। তারা এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। ৫৪ বছরের ল্যারি নাসেরকে যৌন নির্যাতনের ১০টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। নিজের কৃত অপকর্মের জন্য আদালতে ক্ষমা চান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এই চিকিৎসক। তবে বিচারক রোজম্যারি আকিলিনা তার এ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ল্যারি নাসের যা করেছেন তা একটি ভয়াবহ অপরাধ। এজন্য ‘জীবনের বাকি দিনগুলোতে অন্ধকার কারাগারই’ হবে তার ঠিকানা। কারণ যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তাতে কারাগারের বাইরে থাকার কোনও অধিকার তার নেই। এর আগে শিশু পর্নোগ্রাফি রাখার জন্য তাকে ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবারের রায়ে বিচারক রোজম্যারি আকিলিনা বলেন, তুমি এখনও তোমার কৃতকর্মের প্রাপ্য শাস্তি পাওনি। আমার কুকুরগুলোকে তোমার পেছনে লেলিয়ে দেবো না। আমি শুধু তোমার মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছি। বিচারক বলেন, ভুক্তভোগীদের ব্যথা ও মানসিক যন্ত্রণা প্রকাশের ভাষা তার জানা নেই। তবে তিনি তাদের যন্ত্রণা অনুভব করেন। চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টিকস টিমের নারীদের ডেকে নিতেন দণ্ডপ্রাপ্ত এই চিকিৎসক। কিন্তু ব্যথা লাঘবের বদলে তিনি তাদের সরলতার সুযোগ নিতেন। ভিকটিমদের মধ্যে কম বয়সী নারীও ছিলেন। ফলে শিকারে পরিণত হওয়ার কয়েক বছর পর্যন্ত তারা বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেননি। সূত্র: বিবিসি