বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদৎবার্ষিকী আজ।
১৯৮১ সালের এই দিনে ৩০মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপৎগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি।
বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো এই দিনটি ‘জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী’ হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি।
জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিস্থলে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার কারাগারে থাকায় শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বেই নেতা-কর্মীরা প্রতিষ্ঠাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করার কর্মসূচি ছিল। একইভাবে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে শাহাদৎবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের প্রতিটি থানায় দুস্থদের মাঝে কাপড় ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বিভাগীয় শহরগুলোয় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে বইমেলা হবে। এ ছাড়া আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বইমেলার মতো কর্মসূচি রয়েছে এই ১০ দিনের কর্মসূচিতে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রপত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পোস্টার প্রকাশ, আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। ‘জেড ফোর্সে’র অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি। বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বঙ্গবন্ধু তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করেন। ‘৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন তিনি। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।