নিয়ম করে খাওয়া বা ব্যায়াম দুটোই সমানভাবে চালিয়ে নেওয়া সত্যি কঠিন। আর দ্রুত ওজন কমাতে হবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে, অনেকেই খাওয়া খুব কমিয়ে দেন। যা সুস্থতার জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে শরীর দূর্বল হয়ে যায়।
আবার ওজন বেড়ে গেলে অনেক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় বাড়তি ওজন অনেককেই মানসিকভাবেও অস্বস্তিতে রাখে।
অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা ওজন কম রাখাকে একটি ফ্যাশন হিসেবে মনে করে থাকে। অথচ এর মূল উদ্দেশ্য হলো সুস্থ-সজীব, কর্মক্ষম থাকা এবং রোগের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা।
অল্প খাবার বারে বারে খাওয়া, কিছু ক্যালরিবহুল খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে দেওয়া, নিয়মিত হাঁটা, সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ, ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং চিন্তামুক্ত থাকার মাধ্যমে অনায়াসে ওজন কমানো সম্ভব।
জেনে রাখুন, একটি মাত্র ডায়েট কখনও আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করবে না। এক্ষেত্রে নিয়মিত ফলোআপ অনেক জরুরি। সাধারণত প্রতি ২১ দিন থেকে ১ মাস অন্তর অন্তর করে প্রয়োজনীয় ক্যালরি চাট করে ডায়েট মেনে চলতে হয়। এতে আপনার শারীরিক ক্ষতি হওয়ার তেমন সম্ভাবনা থাকবে না। যেমন চুল পড়া, ত্বক ঝুলে যাওয়া, দূর্বল লাগা, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। তাই ওজন কমানোর জন্য কখনই নিজে নিজের খাবার কমানো বা কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক না।
আরও যা মানতে হবে-
- ওজন কমাতে ভালো মতো সকালের নাস্তা খাওয়া খুবই জরুরি।
- খালিপেটে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিলিয়ে পান করতে পারেন
- ১০.৩০ থেকে ১১টা অর্থাৎ মধ্য সকালে হালকা কোনো খাবার গ্রহণ করুন যেমন ফল/ লেবু দিয়ে রঙ চা/ ডাবের পানি/ শশা/ গ্রিন টি ইত্যাদি।
• দুপুরে ১-১.৩০টার মধ্যে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করুন, মেন্যুতে রাখুন অল্প ভাত বা রুটি/ সালাদ/ শাক/ সবজি/ মাছ
• বিকালে ৪-৫টার মধ্যে আরেকটি খাবার খাবেন, যা খুবই হালকা হবে, যেমন- বাদাম/ গ্রিন টি/ সুগার ছাড়া বিস্কুট/ ফল/ মাঠা
• রাতের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন ৮-৮.৩০টার মধ্যে। রুটি/ সবজি/ মুরগি বা মাছ খেতে পারেন।
• শোবার আগে টকদই বা ফ্যাট ফ্রি দুধ পান করুন।
এই খাবারগুলোর পরিমাণ নির্ভর করবে আমাদের ক্যালরি চাহিদার ওপর। সাধারণত ওজন কমাতে ক্যালরি চাহিদা বয়স, ওজন, পরিশ্রম, রোগের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
তাই ওজন কমাতে অবশ্যই খাওয়া কমানোর আগে জেনে নেয়া ভালো কি কারণে ওজন বেড়েছে। কেননা কারণ জানতে পারলে আমরা খুব সহজে ওজন কমাতে পারব এবং তা দীর্ঘস্থায়ীও হবে।