বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
ঝুঁকিপূর্ণ ১৫ টি খাবার
প্রকাশ: ১১:২৫ am ০৬-১০-২০১৮ হালনাগাদ: ০১:৪৮ pm ০৬-১০-২০১৮
 
 
 


আমরা সাধারণত খাবার কিংবা স্ন্যাকস খাওয়ার সময় খাদ্য সম্পর্কিত ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা করি না। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যা স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ১৫টি খাবার নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

* মাংস ও পোল্ট্রি
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, খাবারবাহিত অসুস্থতা জনিত মৃত্যুর ২৯ শতাংশ হয় মাংস ও পোল্ট্রির কারণে। সার্বিকভাবে, অ্যালার্জেন অথবা টক্সিক কেমিক্যালের চেয়েও বেশি মৃত্যুর কারণ হচ্ছে খাবারের প্যাথোজেন। সুতরাং, নিশ্চিত হোন যে, আপনার মাংস ও পোল্ট্রি সঠিক তাপমাত্রায় (গরুর মাংস ১৪৫ ডিগ্রি, গ্রাউন্ড মিট ১৬০ ডিগ্রি এবং পোল্ট্রি ১৬০ ডিগ্রি) রান্না হচ্ছে।

* কাঁচা দুগ্ধজাত খাবার
ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডিপার্টমেন্ট অব ফুড সায়েন্সের সহযোগী অধ্যাপক অ্যামান্ডা কিনশ্লা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কাঁচা দুধ পান করি না। পাস্তুরিত দুধ (প্যাথোজেন দূর করার জন্য গরম করা দুধ) সম্ভাব্য ঝুঁকি হ্রাস করে অথবা দূর করে।’ অনেক লোক কাঁচা দুধ পান করে, তারা বলে যে এর স্বাদ পাস্তুরিত দুধের চেয়েও বেশি এবং এটি একজিমা নিরাময় করে। সিডিসি উল্লেখ করেছে যে ১৯৯৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২,০০০ অসুস্থতা এবং ১৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তির মূল কারণ হলো কাঁচা দুধের জীবাণু জনিত প্রাদুর্ভাব। কাঁচা দুধ, নরম পনির, আইসক্রিম এবং দই ঝুঁকিপূর্ণ।

* কাঁচা স্প্রাউট
ক্লেমসন ইউনিভার্সিটি’স কলেজ অব অ্যাগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ফুড সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক পল ডাউসন বলেন, তিনি কাঁচা স্প্রাউট খান না, যদি তিনি এটি কোথা এসেছে তা না জানেন। যদিও কাঁচা স্প্রাউটকে স্বাস্থ্যকর খাবার মনে হয়, কিন্তু এটি উষ্ণ, আর্দ্র অবস্থায় জন্মায় বলে প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বিস্তারের জন্য আদর্শ হতে পারে, ফুড সেফটি ডট গভ অনুসারে। দূষিত স্প্রাউট থেকে শিশু, বয়স্ক লোক এবং গর্ভবতী নারীদের অসুস্থ হবার সম্ভাবনা বেশি।

* চিনাবাদাম
ডা. ডাউসন বলেন, ‘ফুড অ্যালার্জি মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেশভেদে ভিন্ন হতে পারে।’ সিডিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক রিয়্যাকশনের কারণে প্রায় ১১ জন মারা যায়। যদিও খাদ্যবাহিত রোগ থেকে ফুড অ্যালার্জি কম মারাত্মক, কিন্তু যেসব লোকের কোনো খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন থাকে তাদের সতর্ক থাকা উচিত। যাদের চিনাবাদামের প্রতি অ্যালার্জি আছে তারা খুব অল্প পরিমাণ চিনাবাদাম খেলেও উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন- সর্দি থেকে পূর্ণ বিকশিত অ্যানাফাইল্যাক্সিস (যখন গলা ফুলে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা শ্বাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে)। মায়ো ক্লিনিকের মতে, খাবার সম্পর্কিত অ্যানাফাইল্যাক্সিসের সর্বাধিক কমন কারণ হচ্ছে চিনাবাদামের অ্যালার্জি। চিনাবাদামের অ্যালার্জির ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য সঙ্গে এপিনেফ্রিন ইনজেক্টর রাখতে পারেন।

* ট্রি নাট
আমেরিকান কলেজ অব অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজি ধারণা করছে যে যেসব লোক চিনাবাদামের প্রতি অ্যালার্জিক তাদের এক-চতুর্থাংশ থেকে ৪০ শতাংশ অন্তত একটি ট্রি নাটের প্রতি অ্যালার্জিক। ট্রি নাটের মধ্যে কাজুবাদম, ক্যাশু, আখরোট এবং পাইন বাদাম উল্লেখযোগ্য। এসবের কোনোটির সঙ্গে চিনাবাদাম ও শেলফিশ ভোজন হচ্ছে অ্যানাফাইল্যাক্সিসের অন্যতম প্রধান কারণ।

* শেলফিশ
বাগদা চিংড়ি, কাঁকড়া, গলদা চিংড়ি এবং বিভিন্ন প্রজাতির ঝিনুক শেলফিশের অন্তর্ভুক্ত, যা কিছু মানুষের জন্য দ্বিগুণ হুমকি। শেলফিশ হচ্ছে একটি ফুড অ্যালার্জেন যা মারাত্মক অ্যানাফাইল্যাক্সিসের কারণ হতে পারে এবং কাঁচা শেলফিশ হচ্ছে খাদ্যবাহিত রোগের অন্যতম সর্বাধিক কমন কারণ। কাঁচা অয়েস্টার (এক ধরনের ঝিনুক) ভাইব্রিও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হতে পারে যা গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যা, রক্তনালীর ইনফেকশন, ত্বকের ফোস্কা এবং এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে, সিডিসি অনুসারে। এই সংস্থা উল্লেখ করেছে যে গরম সস, লেবুর রস ও অ্যালকোহল ব্যাকটেরিয়া হত্যা করতে পারে না, কিন্তু সঠিকভাবে রান্না করলে ব্যাকটেরিয়া মরে যায়।

* কামরাঙা
আমাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রে এই ফলটি খাওয়া বিপজ্জনক নয়, কিন্তু কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কামরাঙা বিপজ্জনক হতে পারে- কারণ রোগাক্রান্ত কিডনি কারামবক্সিন নামক নিউরোটক্সিন দূর করতে পারে না, যা মস্তিষ্কে পৌঁছে এবং তীব্র উপসর্গ সৃষ্টি করে, যেমন- অনবরত হেঁচকি, বমি, দুর্বলতা ও কনফিউশন। ডায়ালাইসিস করা না হলে রোগীর খিঁচুনি, কোমা ও মৃত্যু হতে পারে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT