‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড-২০১৮’ আইনের চূড়ান্ত খসড়ায় এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সম্প্রতি চূড়ান্ত খসড়াটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭৮ সালের মাদ্রাসা শিক্ষা অর্ডিনেন্সকে আইনে রুপান্তরের পাশাপাশি তা যুগোপযোগী করা হচ্ছে। চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য।’ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. আব্দুল খালেক গত ১৭ সেপ্টেম্বর আইনের সারসংক্ষেপসহ চূড়ান্ত করা খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন।
প্রস্তাবিত আইনে সরকার স্বীকৃত ধর্মীয় শিক্ষা ও চর্চার জন্য প্রতিষ্ঠান, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, দাখিল মাদ্রাসা ও আলিম মাদ্রাসার শিক্ষকদের রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ হয়েছে। অন্যদিকে, ফোরকানিয়া ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে প্রাথমিক শিক্ষার সমমান নির্ধারণ করা হয়।
রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়- এসব মাদ্রাসার কোনও শিক্ষক রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নিতে, যোগ দিতে ও সহায়তা করতে পারবেন না। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার গণঅসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারবেন না। জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে শত্রুতা বা বিভেদ সৃষ্টি হয়, কিংবা জনশান্তি নষ্ট হয়; বিঘ্নিত হয়— এমন কোনও কাজে জড়িত হতে পারবেন না। কোনও শিক্ষক ও কর্মচারী স্থানীয় সরকার পদ্ধতির কোনও নির্বাচনি প্রচারণায়ও অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনে প্রভাব সৃষ্টি কিংবা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। কেউ এই শর্ত ভঙ্গ করলে চাকরিচ্যুতসহ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।