বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৬ সালের জন্য বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প) কার্ড পেলেন ৫৬ জন উদ্যোক্তা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত সিআইপিদের হাতে এ কার্ড তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নতুন নির্মিতব্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি উদ্যোক্তারা অগ্রাধিকার পাবেন। তারা শিল্প স্থাপনের পর জমি ফাঁকা থাকলে তা বিদেশিদের দেওয়া হবে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাজেট প্রণয়ন করা হতো বিদেশি সহায়তার ওপর ভরসা রেখে। আর এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছি। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। তবে এই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জন্য পাঁচ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত ৪৮ জন এবং পদাধিকার বলে ৮ জনসহ মোট ৫৬ জন শিল্প উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠান সিআইপি (শিল্প) পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহৎ শিল্পে ২৫ জন, মাঝারি শিল্পে ১৫ জন, ক্ষুদ্র শিল্পে ৬ জন, মাইক্রো শিল্পে ১ জন এবং কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ জন রয়েছে।
সিআইপি নীতিমালা অনুযায়ী, কার্ড পাওয়ার পর থেকে এক বছরের জন্য সিআইপিরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন। সহজে ভিসা পাওয়ার জন্য তাদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন দেবে। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা এবং সচিবালয়ে প্রবেশের পাস পাবেন তারা। এছাড়া সরকার নীতিনির্ধারণী কোনো কমিটিতে সিআইপিদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। বিদেশে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠকের সুযোগ পাবেন সরকারি নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে।