প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনের প্রতিবাদে এবং সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে রাজশাহীতে সড়ক অবরোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন সংগঠনটির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবরোধ করায় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় নেতাকর্মীরা 'রাজাকারের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও', 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা, বহাল চাই বহাল চাই', 'আমাদের ধমনিতে, মুক্তিযোদ্ধার রক্ত', 'আর নয় পঁচাত্তর, এবার হবে একাত্তর', 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা, দাবি নয় অধিকার', 'মুক্তিযুদ্ধের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না'—এসব স্লোগান দিতে থাকেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান এসে বিক্ষোভকারীদের চলে যেতে বললে তাঁরা ওই সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেন।
সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি তারিক হাসান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। যার পুরস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩০ শতাংশ কোটা দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা আমাদের অধিকার। এ কোটা বাতিল হলে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে অপমান করা হবে। আমরা চাই, এই কোটা বহাল রাখা হোক।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, তারা মহাসড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করছে। ফলে কোনো যান চলাচল করতে পারছে না। মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। তাই তাদের সরে যেতে বললে বিক্ষোভ বন্ধ করে তারা চলে যায়।
এর আগে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।