গম বা আটার বাজারমূল্য হিসাব করে এবার সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৭০ টাকা।
বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এবার সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবাং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছর সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেজুর, কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোনো একটি পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফিতরার জন্য নির্ধারিত ওজনের আটার দাম ৭০ টাকা, যবের দাম ৫০০ টাকা, কিসমিস ১৩২০ টাকা, খেঁজুর ১৯৮০ টাকা এবং পনিরের ২৩১০ টাকা ধরে এই ফিতরা হিসাব করা হয়েছে।
“দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।”
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দিন আহমদ, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আহছানিয়া সুফিজম ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মাদ উছমান গণী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফাসসির মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শাখার পরিচালক ও উপ-পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।