আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা খান টিপু সুলতান মারা গেছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২৮ মিনিটে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াতের খালাত ভাই এস এম আব্দুর রশিদ জানান, কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন টিপু সুলতান। গত সোমবার যশোরের বাসায় ‘মাথা ঘুরে পড়ে গেলে’ তাকে ঢাকায় সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। এই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টিপু সুলতানের স্ত্রী জেসমিন আরা বেগম পেশায় চিকিৎসক। তাদের দুই ছেলে সাদাব হুমায়ুন সুলতান ও জুবায়ের সুলতান। রোববার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় টিপু সুলতানের জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। পরে বাদ জোহর জানাজা হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে। এরপর যশোর নিয়ে জেলা শহর ও মনিরামপুরে জানাজার পর খুলনার ডুমুরিয়ার ধামালিয়া গ্রামে তার দাফন হবে। টিপু সুলতানের জন্ম ১৯৫০ সালের ১৩ ডিসেম্বর, নানা বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়ার জমিদার বাড়ি। যশোর সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনে দশম শ্রেণিতে পড়াকালে ১৯৬৬ সালে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হন টিপু সুলতান। তিনি ১৯৬৮ সালে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে যশোর অঞ্চলের নেতৃত্বে ছিলেন। ওই বছরই তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যশোরে এসে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। পরে দলটির গুরুত্বপূর্ণ নানা দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যে গুটিকয়েক মানুষ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন টিপু সুলতান।