বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ না চাইলেও রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনে জাতীয় পার্টি’র (কাজী জাফর) প্রয়াত চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্য গড়তে না চাইলেও দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে। একইসঙ্গে সরকারকে আমিত্ব বা সংকীর্ণতা পরিহার করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা করার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হবে কি করে, বিএনপি তো সত্যিকার অর্থের একটি জনপ্রিয় ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। কোনো কিছুর বিনিময়ে বিএনপি নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেবে না।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডকে কেন গণহত্যা বলেননি ? মিয়ানমারের কর্মকান্ডের নিন্দা জানাননি? দেখেই বোঝা যায় এখনো সেই বশংবদ রাজনীতিতে আছেন। এখনো আপনারা ভয় পান যে মিয়ানমারকে যারা সমর্থন দিচ্ছে তারা যদি বিরাগভাজন হয়ে যান! এখানেই পার্থক্যটা।
চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চালের দাম বেড়েই চলেছে। সেদিকে কোনো পদক্ষেপ নেই। উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে মেগা লুট চলছে। শেয়ারবাজার, ব্যাংকসহ অন্যান্য সেক্টর লুটের পর এখন ত্রাণ লুট করছে।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডক্টর টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপিকা রেহেনা প্রধান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এস এম এ আলম, কাজী জাফর আহমেদের বড় মেয়ে কাজী জয়া প্রমুখ।