আওয়ামী লীগ পালানোর জন্য তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত শনিবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষশতা হারালো টাকা-পয়সা নিয়ে পালাতে হবে।

ওবায়দুল কাদেরের ওই বক্তব্য উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, “একটা দলের সেক্রেটারি জেনারেল যা বলেন, তা থেকে বুঝে নেয়া যায়। তিনি বানিয়ে বানিয়ে বলছেন না বা এমনি এমনি বলেছেন না। এতেই বোঝা যায় তাদের পালানোর সময় হয়ে গেছে। তাই তারা সম্পদ গোটাতে ব্যস্ত। তারা পালানোর জন্য তৈরি হোক, আর আমরা জনগণের জন্য দেশ রক্ষার জন্য অধিকার রক্ষায় তৈরি হই। সেভাবেই তৈরি হতে হবে।”

মঙ্গলবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে পয়লা মে শ্রমিক দিবস ও ২ মে শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।

খালেদা বলেন, “আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচনে আমরা যেতেও চাই। তবে সে নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। হাসিনার অধীনে এতদিন যতগুলো নির্বাচন দেখেছি সেগুলো সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দলের সেক্রেটারি জেনারেলের বক্তব্যে তা জাতির কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।”

বিএনপি নেতী বলেন, “আমদের অনেকেই পাশ থেকে বলে দেয়, আপনারা কেন বসে আছেন? আপনারা কিছু একটা করেন। আমাদের এই অবস্থা থেকে রক্ষা করেন। আমরা গণতন্ত্রের মাধ্যমেই দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবো। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন সংগঠন।”

সংগঠন গোছানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এরই মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে মূল দলের কমিটি হয়েছে। অন্য সংগঠনগুলোর কমিটি পুনর্গঠিত হয়েছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদল হয়েছে। সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় দল সংগঠিত হচ্ছে। মহানগর পুনর্গঠিত হয়েছে।”

আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে খালেদা বলেন, “পুলিশের সহায়তায় তারা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। পুলিশ দিয়ে ভাবছে ক্ষমতায় টিকে থাকবে। সেই জন্যই তারা পালানোর কথা বলছে। কারণ দেশে মানুষের মধ্যে তাদের কোনো অবস্খান নেই।”

বিএনপির সংগঠগুলো যত শক্তিশালী হবে, লুটেরাদের ভয় তত বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শ্রমিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, “সকলকে সাথে নিয়ে, দরকার হলে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে হবে। শুধু ঢাকাতে নয়, সারাদেশে শ্রমিক দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।”

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, শ্রমিক দল নেতা সালাহ উদ্দিন সরকার, আবুল খায়ের খাজা, মো. আবুল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কাজী আমীর খসরু, মহানগর উত্তরের সভাপতি জুলফিকার মতিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম রাজা প্রমুখ।