আজ পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি মাতা লাকা ওয়ালমুলক’। অর্থাত্, ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ এই ধ্বনিতে আজ মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। পুরুষরা শ্বেত-শুভ্র সেলাইবিহীন ইহরামের দুই খণ্ড কাপড় পরে (নারীরা স্বাভাবিক কাপড়ে) তালবিয়া পাঠ করবেন। মহান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখ লাখ হাজী আজ আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেবেন গ্র্যান্ড মুফতি। আরাফাতের ময়দানে হাজীদের উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশ থেকে এবার ২৫ লাখ হাজী হজ পালন করছেন। বাংলাদেশ থেকে হজ করছেন ১ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি হাজী। এর আগে মিনার তাঁবুতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। গতকাল রাতে এশার নামাজ পড়ে হাজীদের আরাফাতমুখী কাফেলা শুরু হয়। অনেকে মিনায় ফজরের নামাজ আদায় শেষে রওনা হয়েছেন। আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজীরা। তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে পরে মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। আজ রাতে সেখানে খোলা মাঠে অবস্থান করবেন। এ সময় তারা সেখানে প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন শয়তানের প্রতিকৃতিতে নিক্ষেপের জন্য। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজীরা মিনায় যাবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করার পর পশু কোরবানি দিয়ে পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে গোসল করবেন। ইহরাম বদল করে স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার সাঈ করবেন (দৌড়াবেন)। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় তাঁবুতে ফিরে যাবেন। এরপরের দুই দিন জামারায় নির্দিষ্ট সময়ে যথাক্রমে মধ্যম শয়তান ও ছোট শয়তানকে উদ্দেশ করে সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। মিনার কাজ শেষে আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন। যারা হজের আগে মদিনায় যাননি, তারা মদিনায় যাবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা।