দই কম বেশি সকলেরই প্রিয় একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। একটু ভারী খাবারের পর দই খাওয়া অনেকেই পছন্দ করেন, বিশেষ করে মিষ্টি দই। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। ইচ্ছে হলে ঘরেই জমিয়ে ফেলতে পারেন দোকানের মতো সুস্বাদু ও পারফেক্ট মিষ্টি দই খুব সহজেই।
চলুন দেখে নিই রেসিপিটি।
উপকরণ
১ কেজি দুধ
১ কাপ চিনি
১ টেবিল চামচ টক দই
প্রণালী
– প্রথমেই দুধটাকে ফুটিয়ে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে দুধ ফুটিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন যেন দুধে কোনো সর না পড়ে। বারবার নেড়ে দিন। দুধটা ফুটে তিনভাগের একভাগ হওয়া পর্যন্ত একটু পর পর নাড়ুন।
– এই ফাঁকে মিষ্টি দইয়ে কীভাবে সুন্দর রংটা আনবেন তা জেনে নিন। তিন টেবিল চামচ চিনি অন্য একটি হাঁড়ি বা প্যানে নিয়ে গলিয়ে ক্যারামেল করে নিন। ধীরে ধীরে পাত্রটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবদিক সমানভাবে ক্যারামেল করে নিন। তবে অবশ্যই এটাকে পুড়িয়ে ফেলবেন না।
– এবারে ক্যারামেলটাকে সাবধানে দুধের সাথে মিশিয়ে নিন। সাথে সাথেই দুধের রংটা সুন্দর হয়ে আসবে। এরপর এতে আধা কাপ চিনি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আরো ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে এরপর দুধটাকে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। গরম একটু কমে আসা পর্যন্ত রেখে দিন।
– এক টেবিল চামচ টক দই ছাঁকনিতে নিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন যাতে এর ভেতর থেকে পানিটা বের হয়ে যায়। এরপর একটা বড় বাটিতে নিয়ে এটাকে ডাল ঘুঁটনি বা বিটার দিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিন।
– দুধ কিছুটা ঠাণ্ডা হবে কিন্তু একেবারে ঠাণ্ডা করবেন না। এতে একটা আঙ্গুল ডুবানো যায়, এমন ঠাণ্ডা হবার পর পরই এটাকে ফেটানো দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিন। এক্ষেত্রেও হ্যান্ড বিটার বা ডাল ঘুঁটনি ব্যবহার করতে পারেন।
– দইয়ের সাথে মেশানোর পর দুধটাকে মাটির পাত্রে ঢেলে নিন। এরপর মাটির পাত্রে ঢেলে ভারী মোটা কাপড় বা চটের কিছু দিয়ে ঢেকে অন্ধকার ও ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন ৬-৭ ঘণ্টা। ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে দই জমে যাবে।
যদি ঠাণ্ডা দই খেতে চান তবে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করুন। এরপর ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবেশন করুন দোকানের মতো সুস্বাদু ঘরে জমানো পারফেক্ট ‘মিষ্টি দই’।