আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী হামলা ইসলামে অমার্জনীয় অপরাধ। ইসলাম কখনো কোনোভাবেই আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী হামলাকে অনুমতি দেয়নি। আত্মহত্যা যে কোনো পরিস্থিতিতেই হোক না কেন ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মহত্যাকারী ও আত্মঘাতী হামলাকারীর পরিণতি হলো জাহান্নাম। হাদিসের একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণকারী এক আত্মঘাতী সাহাবিকে জাহান্নামি বলে ঘোষণা করেছেন।
আত্মঘাতী হামলা ও আত্মহত্যার বিষয়ে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, ‘আর তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না। মানুষের সঙ্গে সদাচরণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচরণকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৯৫) এ আয়াতের মাধ্যমেই আল্লাহ তাআলা আত্মহত্যাকে চিরতরে হারাম ঘোষণা করেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি আঘাতের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বলেন, আমার বান্দা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই তার নিজের জীবনের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সুতরাং আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করলাম।’(বুখারি)
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লৌহাস্ত্র দ্বারা আত্মহত্যা করে জাহান্নামে তাকে লৌহাস্ত্র দ্বারা সর্বক্ষণ শাস্তি দেয়া হবে।’ (বুখারি)
পরিশেষে…
কুরআন ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, আত্মহত্যার বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট। আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী হামলা থেকে বিরত থাকতে ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নির্দেশ প্রদান করেছে। পরকালে আত্মঘাতী হামলাকারী ও আত্মহত্যাকারী ব্যক্তির ভয়বাহ শাস্তির কথাও সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, নিঃসন্দেহে তারা জাহান্নামি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে আত্মঘাতী হামলা ও আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলা সিদ্ধান্ত ও বিধি-বিধানগুলো যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।