ঈদের পর সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়ে জনগণকে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েল কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নীতি নেই, আদর্শ নেই। এরা শুধু লুটপাট করতে জানে। বিএনপি দেশের মানুষকে বলতে চায়, এই আওয়ামী লীগ থেকে সাবধান হোন, এ দেশকে বাঁচান। সবাই এক হোন, ঐক্যবদ্ধ হোন। প্রয়োজনে রাজপথে অবস্থান নিতে হবে। রাজপথে অবস্থান নেওয়ার সময় আসবে ঈদের পর। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ১১ দিনের মাথায় আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে সরে যায়। আওয়ামী লীগ ওই সময় নির্বাচনে এসেও যখন দেখল তাদের অবস্থা ভালো নয়, তখন তারা সেই নির্বাচন থেকে সরে গেল, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করল। পরে তারা ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সঙ্গে যোগ সাজশে সেখানে এই নির্বাচন বানচাল করে একটি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে সামরিক শাসন জারির ব্যবস্থা করল। তিনি বলেন, এখন যে অবস্থা শুরু করেছে তাহলে আওয়ামী লীগের অধীনে কী করে নির্বাচন হবে? সেজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ঈদের পর সহায়ক সরকারের রূপরেখা দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ থাকলে তার গুণ্ডা বাহিনী থাকবে, তার পেটুয়া বাহিনী থাকবে, যাকে সেখানে বসিয়েছে তারা থাকবে। নির্বাচন কমিশন একটা তাঁবেদার কমিশন, যেকোনোভাবে আওয়ামী লীগকে জেতাবার চেষ্টা করবে। এজন্য অবশ্যই লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। তাহলে আওয়ামী লীগের সমর্থন কতটুকু, তাদের পায়ের নিচে কতটুকু মাটি আছে বুঝতে পারবে। খালেদা জিয়া জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারসহ জোট নেতাদের নিয়ে ইফতার করেন। জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, নবাব আলী আব্বাস খান, আনোয়ারা বেগম, মাওলানা রুহুল আমিন, জাফরুল্লাহ খান চৌধুরী, সেলিম মাস্টার, শফিউদ্দিন ভুঁইয়া, প্রয়াত নেতা কাজী জাফর আহমেদের বড় মেয়ে কাজী জয়া, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মো. ইকবাল, মো. শরিফউদ্দিন, এএসএম শামীম, কাজী ফয়েজ, সোলায়মান শামীম ইফতারে অংশ নেন। বিএনপি নেতাদের মধ্যে ইফতারে অংশ নেন আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাসান উদ্দিন সরকার প্রমুখ।