খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির হলে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি শুরু হয়।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশীদকে এদিন তিনটি প্রশ্নে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, আসামিপক্ষ আরও তিনটি প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার সুযোগ পাবেন। সেজন্য ৬ জুলাই দিন করে দিয়েছেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আকতারুজ্জামান।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাও ওইদিন শুনানির জন্য আসবে। পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এ দুই মামলার বিচার চলছে।
এতিমখানা ট্রাস্ট ও দাতব্য ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ ও ২০১০ সালে মামলা দুটি দায়ের করে দুদক।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুই মামলাতেই বিএনপি নেত্রীর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি কয়েক দফা পেছানো হয়। আসামিপক্ষের অনাস্থার কারণে কয়েক দফা বিচারকও বদল হয়।
খালেদার সর্বশেষ আবেদনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মে এ দুই মামলা ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত থেকে বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে আসে।
আসামিপক্ষের আবেদনে তিনি দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীকে নতুন করে জেরার অনুমতি দেন।
২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতির মামলা করা হয়।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়উর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
মামলা হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করে খালেদাসহ ছয় আসামির বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এরই মধ্যে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় অন্য মামলাটি করে দুদক।
তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এ মামলায় আসামির তালিকায় খালেদা জিয়া ছাড়া তার একান্ত রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএয়ের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানের নামও রয়েছে।