বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা চলবে। সোমবার (২১ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে এ রায় দেন। এর আগে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিলের শুনানি রোববার শেষ হয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অন্য দিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। ২০১৬ সালের ১০ মে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। একই সাথে আদেশের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছার দুই মাসের মধ্যে বেগম জিয়াকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। এরপর ৫ এপ্রিল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান বেগম খালেদা জিয়া। পরে তিনি জামিন পান। অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এখন অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকোসহ তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের স্থগিতাদেশে আটকে যাওয়ার দীর্ঘ দিন পর গত বছর মামলাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। প্রসঙ্গত, ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (মরহুম) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়। ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়া ও সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ (চার্জশিট) দেয়া হয়। দুদক আইন ও জরুরি বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আলাদা দু’টি রিট আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়া। এসব আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন। পরে কয়েক দফায় মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত।