মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ এবং উন্নয়নের নামে লুটপাট নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন । বেলা ১১টায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে আদালত জানান।
মামলার আবেদনপত্রে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারস ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমে ছিল।’
অভিযোগে তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, ধর্মীয় লঘুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। যেমন পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেপ্তার করে গুম করছে ও হত্যা করছে।’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে অর্থ লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে আমি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হুকুম দিচ্ছি, তোমরা প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে নেমে এই সরকারের বিরুদ্ধে সকল জনগণ ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের পক্ষে নামার ব্যবস্থা কর।’
খালেদা জিয়ার এ বক্তব্য ১ জানুয়ারি বিভিন্ন দৈনিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বাদী অভিযোগ করেন, ‘আসামির এ বক্তব্য স্বাধীন বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী জাতির পিতার ইতিহাসকে লঙ্ঘিত করে যুবসমাজের কাছে বিতর্কিতভাবে হেয়পন্ন করে মানহানিকর অপরাধ করেছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে দেশের মধ্যে সাধারণ জনগণ ও যুবসমাজের মাঝে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করেছেন।’
সরকারের পক্ষ থেকে তার বক্তব্য অলিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু এ তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন বাদী।