বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘খায়রুল হক অসৎ, অনৈতিক ও নির্লজ্জ ব্যক্তি। কারণ, তিনি সরকারের মুখপাত্রের ভূমিকা নিয়েছেন। একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি হয়ে বিচার বিভাগের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের সবার লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। আমাদের দেশের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি কীভাবে এতটা নিচে নেমে আসেন।’
মওদুদ বলেন, ‘মুন সিনেমা হলের মালিক সিনেমা হল ফিরে পাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। সেই মামলায় খায়রুল হক কোথায় চলে গেলেন। তিনি পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে দিলেন। কিন্তু মুন সিনেমা হলের মালিক কিন্তু এখনো সিনেমা হল ফিরে পাননি। তিনি (খায়রুল হক) একটার পর একটা অপরাধ করেই চলেছেন। তাঁকে তাঁর পদ থেকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।’
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যানের এ বি এম খায়রুল হকের অপসারণ ও গ্রেপ্তার, মন্ত্রীদের বক্তব্যের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির বিধিমালার গেজেট অনতিবিলম্বে প্রকাশ করার দাবিতে আজ রোববার বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্টের উত্তর হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ এসব কথা বলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, খায়রুল হক দেশের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি শপথ ভঙ্গ করেছেন, আসলে তা নয়, খায়রুল হক নিজেই শপথ ভঙ্গ করেছেন।
বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, সরকার মাঠে নেমে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে। রায়ে কোনো মিথ্যা কথা বলা হয়নি। রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ আছে, তাহলে রায়ের বিরুদ্ধ ওবায়দুল কাদের, কামরুল ইসলাম কীভাবে কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন তাঁর বক্তব্যে বলেন, খায়রুল হক বেসামাল হয়ে গেছেন। ওবায়দুল কাদের সমগ্র জাতি এবং বিচার বিভাগকে অপমান করেছেন। খায়রুল হককে এ যুগের মীরজাফর হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চিহ্নিত করবে। তিনি বলেন, সরকারের সাজাপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা আজ সক্রিয়। সরকারের একটাই টার্গেট, সুপ্রিম কোর্টকে আঘাত করা।
অনুষ্ঠানে তৈমুর আলম খন্দকারসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।