নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথম দেড়ঘণ্টার ভোটের পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নিতে তিনি প্রস্তুত।
ভোটের এমন পরিবেশ যেন শেষ পর্যন্ত বজায় থাকে, সে প্রত্যাশার কথাও বলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর সাড়ে ৯টার দিকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পশ্চিম দেওভোগ এলাকার শিশুবাগ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী আইভী।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এখন মাত্র সকাল, সকালের পরিবেশটা যেন বিকাল পর্যন্ত বজায় থাকে। নারায়ণগঞ্জের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটের প্রচারের সুন্দর পরিবেশ ইতিহাসে বিরল।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের সময় পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দঘন থাকে। সুবাতাসই বইছে। জনতার রায় আমি মানি; তারা যে রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব।”
২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন ছিল নির্দলীয়। ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আইভী। এবার আরও বেশি ভোটে জয় পাওয়ার আশার করা ভোটের প্রচারে বলেছেন তিনি।
কোনো আশঙ্কা করছেন কি না জানতে চাইলে ভোট দেওয়ার পর এবারের নৌকার প্রার্থী বলেন, “প্রার্থী হিসেবে শঙ্কা-ভয় থাকবে। আমি আশা করি, এখানো কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটবে না।”
দিনভর যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী যেভাবে সক্রিয় রয়েছে, তা যে শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে- তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জনরায় মেনে নেবেন তিনিও।
আইভী ও সাখাওয়াত ছাড়াও মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন কোদাল প্রতীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, মিনার প্রতীকে ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি এজহারুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি মাছুম বিল্লাহ।
ব্যালটে নাম থাকলেও বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থনের জানিয়েছেন এলডিপির কামাল প্রধান এবং কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস।