আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চারটি শর্ত দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসব শর্ত পূরণ হলেই নির্বাচনে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব শর্ত দেন। তিনি বলেন, ‘এ দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক খালেদা জিয়া। তাঁকে ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেবে না এ দেশের জনগণ।’
রিজভী জানান, তাঁদের কিছু শর্ত পূরণ হলেই কেবল নির্বাচনে অংশ নেবেন তাঁরা। শর্তগুলো হলো—বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
রিজভী বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ও খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, তারা সফল হবে না।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচন নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পিঠা ভাগের মতো সংসদীয় আসনের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ নিজেদের কব্জায় রেখে বাকি স্বল্পসংখ্যক আসন অন্য দলকে ভাগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এটাই নির্বাচনহীন একদলীয় শাসনের নমুনা।’
রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। দেশের জনগণ, দেশের তরুণ সমাজ, দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার ভোটাররা আর একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন হতে দেবে না। তারা আর দেশে এক ব্যক্তির জমিদারি শাসন চালাতে দেবে না। নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে যাতে ভোট দিতে পারে, সে রকম নির্বাচনই দেশে অনুষ্ঠিত হতে হবে।’
আওয়ামী লীগের পাতা ফাঁদে জনগণ পা দেবে না বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।