তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়ন অর্জনে জনগণ ও গণমাধ্যমের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা অর্জনে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা -এ তিনের সমন্বয় সাধন করতে হবে। গণমাধ্যমের মাধ্যমে একাজের অগ্রযাত্রা তুলে ধরতে হবে জনগণের কাছে।’ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তথ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ অর্জন কর্মপরিকল্পনা অবহিতকরণ’ কর্মশালার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তথ্যসচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে এ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ সমন্বয়ক মো: আবুল কালাম আজাদ ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। মন্ত্রী বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোকে বেসরকারি উদ্যোক্তা, সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যম ও জনগণকে সম্পৃক্ত করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠের ১৭টি লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, কেউ যেন এ উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়। হাসানুল হক ইনু বলেন, এ বিশাল কর্মযজ্ঞে সফলতার জন্য প্রত্যেক অংশীদারকেই টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠসহ সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর দশ উদ্যোগ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয়ে বিশদভাবে জানতে হবে। উন্নয়নের সবচেয়ে বড় শত্রু দারিদ্র্য ও লিঙ্গবৈষম্য দূর করতে নিতে হবে সর্বোচ্চ উদ্যোগ। প্রধান তথ্য অফিসার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহপরিচালকবৃন্দসহ তথ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশ নেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো: মনজুরুর রহমানের পরিচালনায় তথ্য কমিশন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও বাজেট শাখা তিনটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করে। কর্মশালায় অংশ নেয়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের ১৪টি সংস্থার ৭০ জন প্রতিনিধি ৫টি দলে বিভক্ত হয়ে কারিগরী বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরে।