বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
বেসিসের নতুন সভাপতি আলমাস, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা
প্রকাশ: ১০:০০ am ০২-০৪-২০১৮ হালনাগাদ: ০৬:০২ pm ০২-০৪-২০১৮
 
 
 


বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বা বেসিস নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া টিম হরাইজন নিজেদের মধ্যে কমিটির পদ বন্টন করেছেন।

 

শনিবার ২০১৮-১৯ মেয়াদের নির্বাচনের পর এক বৈঠকে বসে টিম হরাইজনের নির্বাচিতদের সম্মতিক্রমে নতুন সভাপতি নির্বাচন হয়েছেন দলনতো সৈয়দ আলমাস কবীর। আর কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে ফারহানা এ রহমানকে।

 

নয় সদস্যের কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন শোয়েব এ মাসুদ এবং মুশফিকুর রহমান। তবে আগামী সোমবার বেসিস নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ বন্টন করবেন। তবে তার আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া এই প্যানেলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে এই পদ বন্টন করেছেন।

 

এছাড়াও ২০১৮-১৯ মেয়াদের কমিটির পরিচালক হয়েছেন তানজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, দিদারুল আলম সানি, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক, লুনা সামসুদ্দোহা এবং ফাহিম মাসরুর।

নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সৈয়দ আলমাস কবীর বলেছেন, নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। ভোটাররা সকল ষড়যন্ত্র নসাৎ করে দিয়ে ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তারা ন্যায় এবং ভালোর পক্ষে আছেন। আমরা সবাইকে নিয়েই সামনে এগাবো। সবাইকে নিয়ে বেসিস, বেসিস সদস্য এবং দেশের আইসিটি খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করবো।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেসিস কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটায় এই ভোটগ্রহণ শেষে গনণা এবং ফলাফল প্রকাশ করে।

নির্বাচনে সাধারণ ক্যাটাগরিতে মোট ভোট পড়ে ৩৯৭টি, যার মধ্যে সঠিক ভোট ৩৮৪। আর অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে ভোট পড়ে ১৪৫টি যার মধ্যে সঠিক ভোট ১৪১টি।

এর আগে ৪ মার্চ বেসিস নির্বাচন বোর্ড প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় মনোনয়পত্র জমা দেয়া ৪০ জনের নাম ছিল। নির্বাচনে অংশ নিতে জেনারেল সদস্য ক্যাটাগরিতে ৩৪ এবং অ্যাসোসিয়েটে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

তবে সর্বশেষ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার পর নির্বাচনে তিন প্যানেলে ২৬ প্রার্থী এবং অ্যাসোসিয়েট হিসেবে ৫ প্রার্থী অংশ নেন।

এবারের নির্বাচনে তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী উদ্যোক্তা লুনা শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে ‘প্যানেল উইন্ড অব চেইঞ্জ’, মোস্তাফা রফিকুল ইসলামের ডিউকের নেতৃত্বে প্যানেল ‘টিম বিজয়’ এবং বর্তমান সভাপতি আলমাস কবীরের নেতৃত্বে ‘টিম হরাইজন’ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছে।

বেসিস নির্বাচনের সয়ম ঘনিয়ে আসলে যখন প্রার্থীরা যখন তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় ২৭ মার্চ বেসিস নির্বাচন বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর কথা বলে একটি আদেশ দেয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই আদেশে ৩১ মার্চের নির্বাচন বাতিল করে নতুন পুন:তফশিল ঘোষণার নির্দেশ দেয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বেসিসের ১১ জন সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশনা দেয় বলে জানায়।

প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম টেকশহর ডটকমে বেসিস নির্বাচন বাতিলের খবর প্রকাশ সেদিনই বিকেল থেকে বেসিসে ভীড় জমাতে থাকেন প্রার্থী এবং সদস্যরা। তারা সেখানে গিয়ে নির্বাচন বাতিল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং যথা সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দাবি জানান।

এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর এবং সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান তারা পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করবেন।

এর পরদিন ২৮ মার্চ বেসিসের নির্বাচন বাতিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে ৩১ মার্চই সংগঠনটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ বলবৎ থাকে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT