নামাজ ফাহেশা কাজ থেকে বিরত রাখে। বান্দাকে বেহেশতের বাসিন্দা করে দেয়। হাসিসে বলা হয়েছে নামাজ বেহেশতের চাবি। এসব ছাড়াও নামাজের বাস্তবমুখী শারীরিক কিছু উপকার রয়েছে। আসুন দেখে নেই এগুলো।
১. নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেক বৃদ্ধি পায়।
২. নামাজের যখন আমরা দাঁড়াই তখন আমাদের চোখ একটি কেন্দ্রে স্থির থাকার ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩. নামাজের মাধ্যমে আমাদের শারীরের প্রয়োজনীয় ব্যায়াম হয়ে যায়। নামাজ এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪. নামাজের মাধ্যমে আমাদের মন ও মানসিকতায় অসাধারণ পরিবর্তন আসে।
৫. নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্যতা বজায় রাখে। ফলে স্থুলতা ও বিকলঙ্গতা হার কমে যায়।
৬. নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে। ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার হয় য দ্বারা বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফলে আমাদের গুনাহসমূহ ঐভাবে ঝড়ে যায় যেভাবে দিনে পাঁচ বার গোসলে শরীর থেকে ময়লা ও নাপাকি চলে যায়।
৮. ওজুর সময় মুখমণ্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে মুখমণ্ডলে একপ্রকার ম্যাসেস হয় যাতে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, বলিরেখা ও মুখের দাগ কমে যায় এবং চেহারার লাবন্যতাবৃদ্ধি পায়।
৯. কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।
১০. নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১. নামাজের মাধ্যমে চোখের যত্ন ও ব্যায়াম হয় যায় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায়কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি ভাল থাকে।
সুতরাং আমাদের উচিত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে সময়মতো আদায় করা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।