নারায়ণগঞ্জে মহানগর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। এতে আকাশ নামে একজন গুরুতরসহ দশজন আহত হন। জেলা বিএনপির তিন নেতাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় অনুষ্ঠান নিয়ে আগেই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। নগরীর মিশনপাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতি মিলনায়তনে বেলা ১১টায় মহানগর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা শুরু হয়। দুপুর ১টায় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এলে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকরা তাদের নেতার নামে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এ সময় সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের সমর্থকরাও তাদের নেতার সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে আবুল কালামের সমর্থকরা গিয়াস উদ্দিন সমর্থকদের এই বলে মন্তব্য করে যে, ‘দাওয়াত দেওয়া না হলেও অনুষ্ঠানের খাবার খেতে তারা এসে গেছে।’ এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন সমর্থক মাসুকুল ইসলাম রাজিব ও আবুল কালাম সমর্থক ছাত্রদল নেতা আবুল কাউসার আশার কর্মীদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে রাজিবের এক কর্মী কাউসারের ওপর হামলা করে। হট্টগোলের মধ্যেই কাউসার সমর্থকরা রাজিবকে বের করে দিতে চেষ্টা করে। কাউসার প্রাথমিকভাবে সামাল দিয়ে রাজিবকে মঞ্চে নিয়ে যায়। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়া মাত্র কাউসার সমর্থকরা রাজিব সমর্থকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে আকাশ নামে রাজিবের এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। চলে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। পরে দলের অন্য নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আলোচনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান খান সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল আলম বাবুল, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল খালেক, বিএনপির নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, আতাউর রহমান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল আলম সজল, দফতর সম্পাদক হান্নান সরকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এবং ফতুল্লা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাদের দাওয়াত না দেওয়া প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, তারা আমাদের কমিটির অস্তিত্বকে স্বীকার করেন না বরং একমঞ্চে দাঁড়িয়ে আমাদের অস্তিত্ব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে উসকানি দেন।