বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা ও ছাত্রদলের দুই কর্মীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা দুটি করা হয়। মামলা নম্বর ৫৭ ও ৫৮। দায়ের করা উভয় মামলার এজাহারে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও সাত থেকে আটশ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রহিদুল ইসলাম ও এসআই চম্পক বাদি হয়ে এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলা দুটিতে সরকারি কাজে বাধা দান, পুলিশের ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নসহ বেশ কয়েকটি ধারা জুড়ে দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট সংলগ্ন মাজার গেটের সামনে পুলিশের প্রিজনভ্যান ভেঙে তিন নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপি কর্মীরা। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা ওবায়দুল হক নাসির (৪০), সোহাগ মজুমদার (৩৮) ও মিলন (৩৮) নামের তিনজনকে আটক করে প্রিজনভ্যানে রাখে পুলিশ। হাজিরা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বাসায় ফেরত যাওয়ার পথে একদল বিএনপিকর্মী ওই প্রিজনভ্যানে ভাঙচুর চালিয়ে আটক নেতাদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামকেও তার শান্তিনগরের বাসা থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।