বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সহায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা না করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন হবে না। যেখানে আগামী নির্বাচনের রোড দেখা যাচ্ছে না, সেখানে রোডম্যাপ ঘোষণা করে কী হবে? গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের আচরণের ওপর নির্ভর করবে বিএনপি ইসির সংলাপে যাবে কি না। কারণ বিএনপি বরাবরই বলে আসছে, নির্বাচন হতে হবে সহায়ক সরকারের অধীনে। অন্যথায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। কাজেই সমস্যা সমাধান না করে ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপ কোনো কাজে আসবে না। দলীয় ফোরামে আলোচনার পর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব। এর আগে নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ সিইসি একাই তৈরি করেছেন। ইসির বিধান ও আইন অনুযায়ী অন্য কমিশনারদের সঙ্গে নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত। কিন্তু সিইসি তা একাই তৈরি করেছেন। বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান সিইসি তো আগেই তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। ভোটকেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি, জাল সিল মারা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে যথেষ্ট ক্ষমতা থাকার পরও তিনি প্রয়োগ করেননি।