শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আইভী দেখা করলেন
প্রকাশ: ০৯:৩০ pm ২৩-১২-২০১৬ হালনাগাদ: ০৯:১৯ am ২৪-১২-২০১৬
 
 
 


নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।
 
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে গণভবনে আসেন আইভী।
 
বড় ব্যবধানে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইভীকে অভিনন্দন জানান।
 
প্রধানমন্ত্রী আনন্দে আইভীকে বুকে টেনে নেন এবং কপালে চুমু খান।
আইভিকে চুমু খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত
 আইভী তার বিজয়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি উৎসর্গ করেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে ‘সুষ্ঠু ও অত্যন্ত চমৎকার’ দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি আমার বিশ্বাস ও আস্থা ছিল, তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে এবং আইভীকে ভোট দেবে। এ জন্য তাদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই’।
 
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এতোদিন যে অভিযোগ করে আসছিল তার উপযুক্ত জবাব নারায়ণগঞ্জের জনগণ দিয়েছে।’
 
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির জুডিশিয়াল তদন্তের দাবির জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তারা আজকে আর কোনো কথা খুঁজে পাচ্ছে না।’

‘তারা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চায়। যখন কিছু না পায়, তখন তো কিছু বলতে হবে।’
 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন যে সুষ্ঠু করা যায়, সেটা আওয়ামী লীগ সরকার দেখিয়েছে।’
 
‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিটি নির্বাচনই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণ যাকে ভোট দিয়েছে, তারাই জয়ী হয়েছে।’
আইভীকে নিয়ে গণভবনে ঢুকছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির জন্মই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে।’
 
বিভিন্ন সময় বিএনপি ভোট কারচুপি, অসুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ৩০ মার্চ ভোট চুরির দায় কাঁধে নিয়ে জনগণের আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
 
‘বিএনপি জাতির কাছে মুখ দেখায় কীভাবে? দেশের মানুষ বিএনপিকে ভোট দেয় কীভাবে?,’ প্রশ্ন করেন তিনি।

সাক্ষাতকালে আইভী প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলে সজ্জিত একটি নৌকা তুলে দেন।

আইভী তার জয়ের জন্য শেখ হাসিনা, নারায়ণগঞ্জবাসীসহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে ধন্যবাদ জানান।
 
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আইভী বলেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। যেদিন নেত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দেন, সেদিন আমি বলেছিলাম, ২২ তারিখ নেত্রীর হাতে এই নৌকা ফেরত দেবো।’
 
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইভী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে নিরপেক্ষ ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবিচল ছিলেন। তার জন্যই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আর নিরপেক্ষ নির্বাচনের কারণেই নৌকার বিজয় হয়েছে’।
 
নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু ভোটের উদাহরণ সারাদেশে বজায় থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শীতলক্ষা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন আইভী।
 
সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করছি। উন্নয়নের ব্যাপারে কিছু দাবি করা লাগবে না।’
 
‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
 
আইভী পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতার পাশাপাশি নতুন নতুন প্রকল্প নিতে পারবেন বলেও আশা করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে নৌকা উপহার দিচ্ছেন আইভী
শীতলক্ষ্যায় আরেকটি ব্রিজ নির্মাণে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আইভীকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকতা যদি থাকে, তাহলে উন্নয়ন অব্যাহত থাকে। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের মানুষ বুঝতে পেরেছে।’
 
‘পরিবর্তন হলে উন্নয়নে ঘাটতি হয়।’
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে আমরা যেসব কাজ শুরু করেছিলাম, ২০০১-এ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি তার অনেক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।
 
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে লুটপাট করে খায় বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
 
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আইভীকে জেতাতে যেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন, আগামীতেও একইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
 
নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রায় ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে পরাজিত করেন আইভী। এবার নিয়ে পরপর দুবার মেয়র নির্বাচিত হলেন আইভী।

নির্বাচনে আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট অন্যদিকে সাখাওয়াত পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪।

অনানুষ্ঠানিক এই অনুষ্ঠানে গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক দীপু মনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন ও মুহিবুল হক চৌধুরী নওফেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ কেন্দ্র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা-মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

পরে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT