কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সারাদেশের জেলা সদরে বিক্ষোভ করবে বিএনপি। এ ছাড়া একই কারণে ৪ নভেম্বর শনিবার ঢাকা মহানগরে সকল থানায়ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। ১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মহাসচিব জানান, খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে বিএনপি দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার সারাদেশের জেলা ও মহানগরে এবং আগামী শনিবার ঢাকা মহানগর প্রতিটি থানা ইউনিটে এ প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে। সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সংঘাতে জড়াতে চায় না। আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সরকার সমঝোতার পথে আসবে। আমরা সমঝোতার পথ খোলা রাখতে চাই। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে সংঘাত ছেড়ে সমঝোতায় পথ খুঁজে বের করে সংলাপের ব্যবস্থা করুন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করি খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা গণতন্ত্রের উপর এবং মানবতার বিরুদ্ধে হামলা। এই হামলা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে যে সংগ্রাম তার বিরুদ্ধে হামলা। শনিবার চার দিনের সফরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রওনা দেন খালেদা জিয়া। বিকেলে ফেনী শহরের কাছে মোহাম্মদ আল বাজার পার হওয়ার সময় একদল মানুষ গাড়িবহরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ওই ব্যক্তিরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা মিডিয়ার গাড়িসহ বেসরকারি বেশকিছু যানবাহনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এরপর অবশ্য চট্টগ্রামেও বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিএনপি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করে। অন্যদিকে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ফের ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বিকেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ফেনীর মহীপালের ফ্লাইওভার এলাকা অতিক্রম করার কয়েক মিনিট আগে সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে বাস দুটি আগুন ধরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে।