বেসিস সফটএক্সপো-২০১৮ এর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রিটি হলে ‘ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্স’ শিরোনামে সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক। সেশনে তরুণ ফ্রিল্যান্সারের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বক্তা হিসেবে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলামাস কবীর বলেন, শুধু ফ্রিল্যান্সার হলেই শর্তসাপেক্ষে বেসিস সদস্য হওয়া সম্ভব। মুনাফা অর্জিত হলেই তাকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিলে তা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উন্নয়নে অবদান রাখবে। সরকার
স্টার্টআপদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ব্যাংকও এ খাতে কাজ করছে। অর্থাৎ বাজার তৈরি আছে। ব্যক্তি উদ্যোগে এগিয়ে এলে বেসিসের নিজস্ব ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ আছে। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের পছন্দের বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
সফট এক্সপোর আহ্বায়ক এবং বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল বলেন, অনেকের ধারণা ফ্রি-ল্যান্সাররা পেশাজীবী নয়। অর্থাৎ ফ্রি ল্যান্সারদের আইডেনটিটি ক্রাইসিস আছে। তবে আমি বলব ফ্রিল্যান্সাররা ভিআইপি। কারণ
সবাই তাদের নিয়েই কথা বলে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের আরো ভালো কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ এখন কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি। তাদের এ সুবিধাকে আরো বেশি কাজে লাগাতে হবে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আরফান আলী বলেন, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের সুবিধা দিতে ব্যাংক এশিয়া কাজ করছে। তাদের আরো উৎসাহিত করতে ব্যাংক এশিয়া এবং বেসিস মিলে কো-ব্র্যান্ডেড ‘স্বাধীন’ নামে প্রিপেইড কার্ড চালু করেছে। এ কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা খুব সহজেই বিদেশ থেকে দেশে লেনদেন করতে পারবেন।
আউটসোর্সিং এখন বাংলাদেশ তরুণদের কাছে দারুণ একটি ক্যারিয়ার হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। দেশি তরুণেরা এরই মধ্যে এ বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও আয় করতে শিখেছে। পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা আর ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দিতে পারলে এ খাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা ছাড়াও তরুণদের ঘরোয়া কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব। এ খাতের উন্নয়নে বেসিস শুরু থেকেই গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে আসছে। আগামী দিনেও আউটসোর্সিং খাতের উন্নয়নে উদ্যোক্তা এবং আগ্রহীদের সহযোগিতায় কাজ করবে বেসিস। বিশ্বের আউটসোর্সিং তালিকায় বাংলাদেশ এখন তৃতীয় অবস্থানে। বিল্যান্সার হচ্ছে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস। এরই মধ্যে বিল্যান্সে কাজ করছে নিবন্ধিত ৩৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সারদের প্রাপ্য অর্থ দেয়া হয় পেপ্যাল, পেওনিয়ার এবং মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে। এগুলোর সবই আন্তর্জাতিক মাধ্যম।
শুধু মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের কাজ জেনেই আগ্রহী যে কেউ ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। তবে এ খাতে কাজ করতে সুনির্দিষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন আছে। পেওনিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের আন্তর্জাতিক অর্থ প্রাপ্তিতে দারুণ কাজ করছে। ফ্রিল্যান্সারদের
আগ্রহী এবং উৎসাহ দিতে সরকার তরুণদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
এ সেশনের বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিস পরিচালক ও বেসিস সফটএক্সপো ২০১৮ এর আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, বেসিস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক, ব্যাংক এশিয়ার সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরফান আলী, ব্যাংক এশিয়ার হেড অব রিটেইল আরিফুল ইসলাম চৌধুরি, বেগম এর সিইও রাখশান্দা রুখাম, গুগল লোকাল গাইডস কমিউনিটি মডারেটর সুমাইয়া জাফরিন চৌধুরী, বিল্যান্সার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম, বাক্য’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, পেওনিয়ার এর ব্যবস্থাপক শোয়েব মাহমুদ এবং ফ্রিল্যান্সার দিদারুল ইসলাম সানি।