বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের নাইকো দুর্নীতি মামলার বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল ১৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
দুদকের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদুকের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মওদুদ আহমেদ নিজেই তার পক্ষে শুনাননি করেন।
শুনানি শেষে খুরশীদ আলম খান জানান, মওদুদ আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) নাইকো মামলার বিচার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে।
রোববার আবেদনের শুনানি নিয়ে আপলি বিভাগ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে পক্ষগণকে নির্দেশ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়াসহ ১১ আসমির বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
এর মধ্যে মওদুদ আহমদ এ মামলায় আরও কিছু নথি তলব চেয়ে এবং ওয়াশিংটনে নাইকোর বিষয়ে চলা আরবিট্রশেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু গত ১৬ আগস্ট বিচারিক আদালত এ আবেদন খারিজ করে দেন। পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি আবেদন করেন মওদুদ আহমদ।
খালেদা ও মওদুদ ছাড়া এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। আসামিদের মধ্যে মিয়া ময়নুল হক, কাশেম শরীফ ও কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক রয়েছেন।