বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন তাঁদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তারা পালন করে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সশস্ত্র বাহিনী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে সংকট মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনীকে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সমকক্ষ। পরবর্তীতে আমরা সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনীকে শহীদ জিয়ার গৃহীত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধন করে এই বাহিনীকে আরো আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থেকেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আমি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।’