প্রতারণার মাধ্যমে তারাপুর চা-বাগানের ভূমি আত্মসাতের মামলায় সিলেটের ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলে, মেয়েসহ পাঁচজনের সাজার রায় দিয়েছে আদালত।
এর মধ্যে ৮৩ বছর বয়সী রাগীব আলীকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আর তার ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রোজিনা কাদির, জামাতা আব্দুল কাদির এবং আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে ওই চার ধারায় দেওয়া হয়েছে মোট ১৬ বছর করে কারাদণ্ড।
এ মামলার অপর আসামি তারাপুর চা-বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে বলেছে, চার আসামিকে দুটি ধারায় সাত বছর করে সাজা দেওয়া হলেও বয়স বিবেচনায় রাগীব আলীকে ছয় বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মোস্তাক ও পঙ্কজও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর রোজিনা ও তার স্বামী আব্দুল কাদির পলাতক রয়েছেন।এর আগে ওই চা-বাগানের বন্দোবস্ত নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাগীব ও তার ছেলে হাইকে চারটি ধারায় মোট ১৪ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তাছাড়া পলাতক থাকা অবস্থায় পত্রিকা সম্পাদনাকে প্রতারণা বিবেচনা করে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইকে গত ৯ মার্চ এক বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।